LSD রোগে আতংকিত হয়ে এন্টিবায়োটিক ইনজেকশন দিয়ে গরু মারবেন না!
1) গরুর LSD রোগে প্রথম সপ্তাহে বেশী ঔষধ ব্যবহার করবেন না, এ সময় গরুর নিজের রোগ দমন সক্ষমতা দিয়ে রোগকে মোকাবেলায় সুযোগ দিতে হবে।কতটুকু মোকাবেলা করতে পারছে, এটা খেয়াল করে সাপোর্ট চিকিৎসা দিতে হবে। ভয়ে অগ্রীম চিকিৎসা করতে গিয়ে পিছিয়ে যাবেন।
2) এই সময়/ প্রথম দুই সপ্তাহ কোন প্রকার এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করবেন না, কারন এটা ভাইরাস ঘটিত রোগ, ব্যকটেরিয়া ঘটিত রোগ না।
3) প্রথম সপ্তাহে যত বেশী ঔষধ খাওয়াবেন, এই রোগ ভাল হতে তত বেশী সময় লাগবে; ক্ষতি বেশী হবে, শেষে চিকিৎসা ব্যয় বাড়বে, তথাপি ও গরু-বাছুর বাঁচানো কঠিন হবে।
4) এ সময় আপনার প্রধান কাজ হল একটি থার্মোমিটার হাতের কাছে রাখা, জ্বর মাপা ও জ্বর নিয়ন্ত্রনে রাখা, ফাষ্টভেট/পাইরালজিন এসব ট্যবলেট খাওয়ান প্রতি আট ঘন্টা পরপর দিনে তিনবার। কম করে হলে দিনে 2-3 বার গোসল করাবেন, শরীর মুছে দিতে হবে, জ্বর 104 থেকে নীচে রাখতে হবে।
5) এই সময় খাবার সোডা বড় গরুর জন্য 30 গ্রাম,বাছুর হলে 15 গ্রাম, নিমপাতা পরিমান মত,জিংক সিরাপ বাছুরকে 50 মিলি, বড় গরুকে 100 মিলি করে 15-20 দিন খাওয়াতে থাকুন। এতে এ রোগের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া কম হবে।
6) গোটা গুলো মোটামুটি দৃশ্যমান হতে সুযোগ দিতে হবে, এতে ভয় পাওয়ার কিছু নেই, এ সময় গরুর রোগ প্রতিরোধশক্তি এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে ফাইট করছে এটা জোর করে বন্ধ করতে না যেয়ে একটু সময় দিন ও পরে নন স্টেয়রয়েড এন্টিহিস্টামিন ইনজেকশন দিতে পারেন। এসময় এষ্টাভেট/রেনাসিন ইনজেকশন 100 কেজি বডি ওয়েটের জন্য 8-10 সিসি পরপর তিন দিন/ এক দিন পরপর তিন বার দিতে পারেন। এ সময় রেজিঃ ভেটের পরামর্শ নিবেন।
7) এ সময় খাবার স্বাভাবিক রাখুন,ইলেকট্রোলাইটস/ডেক্সড্রোজ ও মিনারেলস সাপোর্ট দিতে পারেন। ওর স্যালাইন,লেবুর রস, ক্যালসিয়াম, এমাইনোভেট প্লাস সিরাপ এসব দিয়ে এনার্জি ও পুষ্ঠি সাপোর্ট দিতে হবে। এতে গরুর রোগ প্রতিরক্ষা তৈরীতে সহায়তা হবে।
8) এ সময় No lumpy, Lumpy cure, FRA C12 এসব পাউডার খাওয়াতে পারেন। এতে ভাইরাস ভেতর থেকে দূর্বল হয়ে যাবে।
9) নিমপাতা সিদ্ধ পানি, পটাশের পানি, স্যাম্পু, টিমসেন/ GPC8 /FAM 30 এসব দিয়ে গোসল করাতে হবে।
উল্লেখিত পরামর্শ গরু পালনকারী ভাই ও বোনেরা সঠিক ভাবে পালন করলে ভয়ানক LSD রোগ থেকে আপনার গরু দ্রুত সুস্থ্য হয়ে উঠবে ইনশাআল্লাহ্!