কবুতর মা-বাবা কখনও কখনও একটি বাচ্চাকে বেশি খাওয়ায় এবং অন্যটিকে কম খাওয়ায় কিছু নির্দিষ্ট কারণে, যেমন
1. শারীরিক শক্তি ও প্রতিযোগিতা: যে বাচ্চাটি বেশি শক্তিশালী এবং দ্রুত খাবার চায়, সে অন্যটির চেয়ে বেশি খাবার পেয়ে যায়। দুর্বল বাচ্চা পেছনে পড়ে যায়।
2. প্রাকৃতিক বাছাই (Natural Selection): যদি খাবারের ঘাটতি থাকে, তবে মা-বাবা সাধারণত বেশি সম্ভাবনাময় বা শক্তিশালী বাচ্চার দিকে মনোযোগ দেয়।
3. অসুস্থতা বা দুর্বলতা: কোনো বাচ্চা অসুস্থ বা দুর্বল হলে মা-বাবা হয়তো বুঝতে পারে সে বাঁচবে না এবং তাকে কম গুরুত্ব দেয়।
4. অনভিজ্ঞতা: কখনও নতুন মা-বাবা বুঝে উঠতে পারে না দুই বাচ্চাকে সমানভাবে কিভাবে খাওয়াতে হয়।
যদি আপনি দেখেন যে একটি কবুতর বাচ্চাকে ঠিকমতো খাওয়াচ্ছে না বা কম খাওয়াচ্ছে, তাহলে নিচের করণীয়গুলো অনুসরণ করতে পারেন:
—
১. পর্যবেক্ষণ করুন:
প্রতিদিন লক্ষ্য করুন কোন বাচ্চা খাচ্ছে আর কে খাচ্ছে না।
দুর্বল বাচ্চার ফসল (crop) স্পর্শ করে দেখুন—ফাঁকা থাকলে বুঝবেন সে খায়নি।
—
২. ছোট বা দুর্বল বাচ্চাকে আলাদা করে খাওয়ানো:
হ্যান্ডফিডিং করুন (দিনে ৩-৪ বার):
প্রস্তুতি:
১টি ছোট সিরিঞ্জ
কবুতর বাচ্চার জন্য নরম খাবার (যেমন: হালকা গরম করে গুঁড়া চাল + কুসুম গরম পানি মিশিয়ে পাতলা পেস্ট বানিয়ে নিন, বা কবুতরের বাচ্চার জন্য বানানো রেডিমেড ফর্মুলা)
পদ্ধতি:
1. সিরিঞ্জে অল্প করে খাবার নিন।
2. বাচ্চার ঠোঁটের পাশে আস্তে করে সিরিঞ্জ ঢুকিয়ে ধীরে ধীরে খাবার দিন।
3. খাবার দেওয়ার সময় মাথা সামান্য ওপরে রাখুন যেন খাবার শ্বাসনালীতে না যায়।
—
৩. মা-বাবাকে পর্যাপ্ত খাবার দিন:
গম, মটর, ধান, ভুট্টা—এই ধরনের ভালো মানের শস্য দিন।
ক্যালসিয়াম এবং মিনারেল সাপ্লিমেন্ট দিন যাতে তারা সুস্থ থাকে এবং ভালোভাবে বাচ্চা খাওয়াতে পারে।
—
৪. ঘর পরিষ্কার রাখুন:
বাচ্চাদের বাসা বা ঘর সবসময় পরিষ্কার ও শুকনো রাখুন, যেন তারা অসুস্থ না হয়।
—
৫. শেষ উপায় হিসেবে:
যদি মা-বাবা একেবারেই কোনো বাচ্চাকে না খাওয়ায়, তাহলে পুরোপুরি হ্যান্ডফিডিং করে বাচ্চাটিকে বড় করে তুলুন।