সর্তক পোস্ট

সর্তক পোস্ট

সর্তক পোস্ট

বলতে বা শুনতে খারাপ লাগলেও বাস্তবতা হলো—প্রায় ৯০% কবুতর পালকই অ্যান্টিবায়োটিকের সঠিক ডোজ সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা রাখেন না। এমনকি অনেকেই জানেন না কোনটা সাধারণ ওষুধ আর কোনটা আসলে অ্যান্টিবায়োটিক।
দেখা যায়, অনেক বড় বড় পালকরও ভিডিওতে অ্যান্টিবায়োটিক নিয়ে কথা বলেন অথচ একসাথে ১-২ ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক পানিতে মিশিয়ে ব্যবহার করেন। আরও দুঃখজনক হলো, অনেকে সেসব কথা বিশ্বাস করে নিজের কবুতরে প্রয়োগ করেন—জানার চেষ্টা না করেই। অনেকে তো মন চাইলে যেকোনো অ্যান্টিবায়োটিক লিখে দিয়ে আসেন, অথচ তার গঠন, প্রজন্ম বা কার্যকারিতা সম্পর্কে তাদের নিজস্ব কোনো জ্ঞান নেই।
ফলে কী হচ্ছে?
অতিরিক্ত ও ভুলভাবে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের কারণে কবুতরের শরীরে ধীরে ধীরে এসব ওষুধের প্রতি প্রতিরোধ গড়ে উঠছে। ১ম, ২য় এমনকি ৩য় প্রজন্মের অনেক অ্যান্টিবায়োটিকই এখন অকার্যকর হয়ে যাচ্ছে। ফলে জটিল সমস্যায় পড়তে হচ্ছে আমাদেরই।
তাই এখনই সময়—সচেতন হওয়ার।
সঠিক জ্ঞান ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগ থেকে বিরত থাকুন। না জানলে শিখুন, জেনে নিন—কোন ওষুধ কোথায় এবং কিভাবে ব্যবহার করা উচিত।
কারণ, অজ্ঞানতা শুধু কবুতরের ক্ষতি ডেকে আনে না, আমাদের পরিশ্রম, সময় ও ভালোবাসাকেও ব্যর্থ করে দেয়।

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *